স্টাফ রিপোর্টার :: মানবদরদি তরুণদের সংগঠন বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যেগে ঘরে ঘরে গিয়ে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে শুরুহয়ে রাত পর্যন্ত বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থা-মৌলভীবাজার এর উদ্যোগে কাগাবলা ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডে দরিদ্র দুইশত পঞ্চাশ পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে ঈদ সামগ্রী উপহার তুলে দেয়া হয়। এর মধ্য ছিল সোয়াবিন তেল,ময়দা,পেঁয়াজ,সেমাই,চিনি ও ছোট শিশুদের খাদ্য সমুহ।
জানা যায়, চলমান বন্যা ও ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অভাবগ্রস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে বন্ধন। সে জন্য সংস্থার সদস্য,স্বচ্ছল ও প্রবাসীদের কাছ থেকে ফান্ড সংগ্রহের কার্যক্রম চালায় সংস্থার সদস্যরা।
ফান্ড কালেকশনের পর বিগত ২৭ জুন সোমবারে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ও খলিলপুর ইউনিয়নের বন্যা কবলিত দুই শতাদিক পরিবারের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয় বন্ধনের সদস্যরা।

বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা ত্রাণ দিচ্ছিনা বরং আমাদের অভাবী ভাইদের বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে সামান্যতম ঈদ উপহার তুলে দিচ্ছি।

বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি সাকিবুর রহমান মেরাজ বলেন ‘ কাগাবলা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সোমবার ও বৃহস্পতীবার দুইধাপে ৩৫০টি দরিদ্র পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন সমাজের যারা অভাবগ্রস্থ মানুষ আছে তাদের সামান্যতম কষ্টও যদি লাগব হয়। সেখানেই আমাদের সার্থকতা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন, সহ সভাপতি আজমল হোসেন, সংস্থার কার্যকরী কমিটির সদস্য, ফয়েজ আহমদ, মোঃ জাকারিয়া, রাবেল মিয়া, মো: সুমন, খালেদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক সাহেল রানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু তাহের, তথ্য সম্পাদক ইয়ামিন আহমেদ, সহ তথ্য সম্পাদক আফ্রিদি খাঁন, সহ উন্নয়ন সম্পাদক আব্দুস সামাদ ও শাকারিয়া আহমদ, দপ্তর সম্পাদক আলরাজ রহমান,সহ দপ্তর আকরাম হোসেন ও সাগর মিয়া, সহ সমাজ সেবা সম্পাদক জাবেদ আহমদ, সহ ক্রীড়া সম্পাদক সালমান আহমেদ ও জিহাদ হাসান, আইন সম্পাদক মুজাহিদ মিয়া, সদস্য, তামজিদ আহমদ,বাপ্পি মিয়া, জুনেল মিয়া,আইবুর রহমান, পাবেল মিয়া সহ প্রমুখ।

বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত এই সংস্থার পক্ষ থেকে ১১০০ দরিদ্র পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক থেকে কলেজ পর্যায়ের দরিদ্র পরিবারের আট শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।